×

ভৃগুরাম দ্বারা ক্ষত্রিয় নিঃক্ষত্রিয়

মহেশমতিপুরার রাজা অর্জুন একবার তার পার্ষদদের নিয়ে মৃগয়াতে গিয়েছিলেন। সারাদিন ঘোরার পর খুব ক্ষুধার্ত হলেন তারা। কিন্তু সেখানে খাওয়ার মত কিছু  ছিলনা। বনের মধ্যে হঠাৎ তারা এক সন্ন্যাসীর আশ্রম দেখলেন। সেই আশ্রমে থাকতেন ঋষি জমদাগ্নি ও তার স্ত্রী রেনুকা। রাজা সেখানে গিয়ে কিছু খাবার চাইলেন। কিন্তু আশ্রমে তখন তাদের খেতে দেওয়ার মত কিছু ছিলনা। তাই ঋষি জমদাগ্নি তাদের গাভী সুরভিকে ডেকে রাজা ও তার পার্ষদদের জন্য খাওয়ার ব্যবস্থা করতে বললেন। কামধেনু সুরভি তাদের জল খেতে দিল। কিন্তু রাজা ও তার পার্ষদদের কাছে সেগুলি সুস্বাদু মিষ্টান্ন বলে মনে হল। তারা খুব খুশি হলেন। কামধেনু সুরভির কথা শুনে রাজা জমদাগ্নি ও তার স্ত্রীর কাছে তাকে চাইলেন। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর অর্জুন নৃশংসভাবে হত্যা করলেন জমদাগ্নিকে। মায়ের কান্না শুনে তাড়াতাড়ি আশ্রমে ফিরলেন তাদের সন্তান ভৃগুরাম। মায়ের কাছ থেকে সবকিছু শোনার পর তিনি রাজাকে হত্যা করে একুশবার পৃথিবীকে নিঃক্ষত্রিয় করার শপথ নিলেন।

সারকথা

রাজা অর্জুন পার্ষদদের নিয়ে মৃগয়ায় গিয়ে খুব ক্ষুধিত ও তৃষ্ণার্ত হন। খাদ্যের জন্য ঋষি জমদাগ্নির আশ্রমে গেলে তিনি সুরভি নামে এক কামধেনুর (জাদুশক্তি সম্পন্ন গাভী) সাহায্যে তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। গাভীটির কথা জানার পর রাজা সেটা পেতে চান। ঋষি তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলে রাজা তাকে হত্যা করেন। মায়ের কান্না শুনে ভৃগুরাম এসে রাজাকে হত্যা করে একুশবার পৃথিবীকে নিঃক্ষত্রিয় করার শপথ নেন।