×

নরকাসুর বধ

বরাহ অবতার রূপে অবতীর্ণ হওয়ার সময় নারায়ণ ধরিত্রীকে (পৃথিবী) ধর্ষণ করেছিলেন। তার পরিণতিতে ধরিত্রী নরকাসুরের জন্ম দেন। সে ত্রিলোকের (স্বর্গ- মর্ত্য-পাতাল) নারীদের ওপর অত্যাচার চালাতে শুরু করে। নিজের রাজ্যের কারাগারে মেয়েদের বন্দী করে রাখে। এইসময় শ্রীকৃষ্ণ মথুরা ছেড়ে চলে গেলেন দ্বারকা। এই নগর তৈরি করেছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। নরকাসুর তাকে দ্বারকার মত একটা রাজ্য তৈরি করে […]   আরও পড়ুন

তারাসুর বধ

তারাসুর ছিল এক শক্তিশালী দৈত্য। মহিষাসুরের থেকে সে কোন অংশে কম ছিল না। ব্রহ্মার বরে পৃথিবীতে সে ছিল অপারেজয়। স্বর্গ দখল করে দেবতাদের সেখান থেকে সে বিতাড়িত করলো। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের শরণাপন্ন হলেন তারা। এই ত্রিদেব  তৈরি করলেন এক ক্ষমতাশালী দেবী। তিনি তারকাসুরকে নিধন করে স্বর্গে শান্তি ফিরিয়ে আনলেন। সারকথা ব্রহ্মার বরে তারাসুর হয়ে উঠেছিল […]   আরও পড়ুন

বালাসুর বধ

মহিষাসুরের তিন ছেলে বালাসুর, ত্রিসুরাসুর এবং রক্তাসুর। একদিন মহামায়ার তপস্যা করার সময় মত্ত বালাসুর সেখানে এসে সবকিছু ধ্বংস করে দেয়। ক্রূদ্ধ মহিষাসুর সেখান থেকে তাকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর বালাসুর দেবদেবীদের ওপর অত্যাচার করতে শুরু করে। দেবী দুর্গা একটা সুন্দরী মেয়ের রূপ ধরে তাকে আকৃষ্ট করেন। দেবী দুর্গার ছলনায় ভুলে বালাসুর তাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু […]   আরও পড়ুন

ভৃগুরাম দ্বারা ক্ষত্রিয় নিঃক্ষত্রিয়

মহেশমতিপুরার রাজা অর্জুন একবার তার পার্ষদদের নিয়ে মৃগয়াতে গিয়েছিলেন। সারাদিন ঘোরার পর খুব ক্ষুধার্ত হলেন তারা। কিন্তু সেখানে খাওয়ার মত কিছু  ছিলনা। বনের মধ্যে হঠাৎ তারা এক সন্ন্যাসীর আশ্রম দেখলেন। সেই আশ্রমে থাকতেন ঋষি জমদাগ্নি ও তার স্ত্রী রেনুকা। রাজা সেখানে গিয়ে কিছু খাবার চাইলেন। কিন্তু আশ্রমে তখন তাদের খেতে দেওয়ার মত কিছু ছিলনা। তাই […]   আরও পড়ুন

Mahishahur Badh (Slaying of Mahishasura)

প্রবল তপসায় সন্তুষ্ট হয়ে ব্রহ্মদেব রামভাসুরকে বর হিসাবে জিজ্ঞাসা করলেন। রামভাসুরের বর তাঁর ছেলের জন্য ছিল যাকে তিনি তিন বিশ্বজয়ী হিসাবে দেখতে পছন্দ করেছিলেন। ব্রহ্মা রাজি হয়ে সম্মতি জানাল। সমস্ত sশ্বর যখন এটি জানতে পেরেছিলেন তখন তারা একত্রিত হয়ে রামভাসুরকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেন। ওপাশে, রামভা নিজেকে মহিষে রূপান্তরিত করে। তিনি একটি জল মহিষের প্রেমে […]   আরও পড়ুন

সম্রাট নিবাত কবচ বধ

নিবাত কবচ ছিল এক শক্তিশালী দৈত্য। দেবতা শিবের বরে সে স্বর্গলোকের অধীশ্বর হয়েছিল। তাতে ভয় পেয়ে দেবতা ইন্দ্র ভগবান বিষ্ণুর কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করলেন। নিবাত কবচ যদি মহিলাদের ওপর কোন অন্যায় করে তাহলে অর্জুন এসে তাকে শাস্তি দেবেন বলে ইন্দ্রকে আশ্বস্ত করা হল। এরপর নিবাত কবচ মহিলাদের অত্যাচার করা শুরু করতেই উপস্থিত হলেন অর্জুন। […]   আরও পড়ুন

লব কুশের অশ্ব বধ (লব কুশের ঘোড়া ধরা)

শ্রীরামচন্দ্র অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করেন এবং উৎসর্গীকৃত অশ্বটিকে ছেড়ে দেন। শত্রুঘ্ন এবং তার যোদ্ধাদের সঙ্গে ঘোড়াটি পরিক্রমা শুরু করে। অন্যদিকে, সীতা তপোবনে তার বনবাসের পর্ব কাটাচ্ছেন। তার দুই পুত্র লব আর কুশ ধীরে ধীরে যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠছে। অশ্বমেধের ঘোড়াটি তপোবনে পৌঁছল। লব আর কুশ ঘোড়াটিকে দেখতে পেলেন। ‘যে এই ঘোড়াটিকে বাঁধবে তাকে শ্রীরামচন্দ্রের সঙ্গে […]   আরও পড়ুন

সুন্ধ-উপসুন্ধ বধ

সুন্ধ আর উপসুন্ধ ছিল দৈত্য হিরণ্যকশিপুর পুত্র। এই দুজন ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী দৈত্য। একবার তারা অমরত্ব লাভের আশায় দেবতা ব্রহ্মার তপস্যা শুরু করলো। সাধনায় তুষ্ট হয়ে ব্রহ্মা তাদের বর দিলেন কোন মানুষ এই দুই ভাইকে বধ করতে পারবে না। একমাত্র নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করলেই দুভাই মারা যাবে। দেবতার বরে অপারেজেয় দুই দৈত্য ভাবলো […]   আরও পড়ুন

সীতাহরণ (সীতাকে অপহরণ)

সুর্পনখার অপমানের কারণে মরিয়া হয়ে রাবণ ছদ্মবেশ ধারণে সুদক্ষ মারীচকে পাঠালেন সোনার হরিণের রূপ ধরে প্রতিশোধ গ্রহণের উদ্দেশ্য নিয়ে। হরিণটি রাম সীতার কুটিরের সামনে ঘোরাঘুরি করতে শুরু করল। সীতা রামচন্দ্রকে হরিণটি ধরে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেন। লক্ষণকে সীতাকে দেখে রাখতে বলে রাম বেরিয়ে গেলেন। হরিণটি গভীর জঙ্গলে ঢুকে গেল। অনেক সময় পেরিয়ে গেল কিন্তু হরিণটি […]   আরও পড়ুন

নারীর অশ্রুজলে ভগবানের পরাজয়

দেবতা মহাদেব ও দেবী পার্বতী শুম্ভ এবং নিশুম্ভ নামে দুই ভয়ঙ্কর দৈত্যকে নিধন করতে গিয়েছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফেরার সময় মহাদেবকে পার্বতী জানালেন, এই দুই দৈত্যকে বধ করতে তিনি আটবার নিজের রূপ পরিবর্তন করেছিলেন। একথা শুনে কার্তিকেয় বললেন, এই কালপর্বে দেবীকে স্মরণ করবে মানুষ, পূজিত হবেন তিনি। মাসটির নাম কার্তিক রেখে তাকে পুরস্কৃত করলেন দেবতা মহাদেব […]   আরও পড়ুন