×

সীতাহরণ (সীতাকে অপহরণ)

সুর্পনখার অপমানের কারণে মরিয়া হয়ে রাবণ ছদ্মবেশ ধারণে সুদক্ষ মারীচকে পাঠালেন সোনার হরিণের রূপ ধরে প্রতিশোধ গ্রহণের উদ্দেশ্য নিয়ে। হরিণটি রাম সীতার কুটিরের সামনে ঘোরাঘুরি করতে শুরু করল। সীতা রামচন্দ্রকে হরিণটি ধরে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেন। লক্ষণকে সীতাকে দেখে রাখতে বলে রাম বেরিয়ে গেলেন। হরিণটি গভীর জঙ্গলে ঢুকে গেল। অনেক সময় পেরিয়ে গেল কিন্তু হরিণটি ধরা পড়ল না। হয়তো রাম কোনো সমস্যায় পড়েছেন এই ভেবে সীতা লক্ষণকে অনুরোধ করলেন যে সে যেন রামের খোঁজে যায়। লক্ষণ সীতাকে একা রেখে যেতে রাজি হলেন না। কিন্ত সীতা তাকে জোর করতে লাগলেন। তখন সীতার চারপাশে রেখার সাহায্যে গন্ডি কেটে দিয়ে লক্ষণ বললেন সে যেন এই গন্ডি অতিক্রম না করে। রাবণ একজন সন্ন্যাসীর বেশ ধারণ করে সেখানে উপস্থিত হলেন এবং সীতার কাছে কিছু খাবার চাইলেন। সীতা একটু পরে কিছু খাবার নিয়ে এসে সন্ন্যাসীকে গ্রহণ করতে অনুরোধ জানালেন। কিন্ত রাবণ লক্ষণরেখার গন্ডির ভেতরে গিয়ে খাবার গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন। সন্ন্যাসীর অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত হওয়ার ভয়ে সীতা তাড়াতাড়ি গন্ডির বাইরে বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই রাবণ তার নিজের রথে চাপিয়ে শ্রীলঙ্কার দিকে রওনা হলেন। দশরথের বন্ধু জটায়ু, রাবণের পথ আটকে বাধা দিলেন। তার সঙ্গে যুদ্ধ করলেন এবং শেষ পর্যন্ত রাবণের কাছে পরাজিত হলেন।

সারাংশ

রাম সীতার অনুরোধে সোনার হরিণ ধরতে গেলেন। যখন সোনার হরিণের ছদ্মবেশধারী মারীচ রামকে গভীর বনের মধ্যে নিয়ে গেল, তখন সীতার চারপাশে নিরাপত্তার জন্য রেখা এঁকে দিয়ে লক্ষণ দাদার খোঁজে গেলেন। রাবণ এই সুযোগ গ্রহণ করলেন ও সন্ন্যাসীর বেশে সেখানে পৌঁছে গেলেন এবং সীতা লক্ষণরেখা অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে অপহরণ করলেন। জটায়ু রাবণকে বাধা দিলেন কিন্ত পরাজিত হলেন।