×

লব কুশের অশ্ব বধ (লব কুশের ঘোড়া ধরা)

শ্রীরামচন্দ্র অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করেন এবং উৎসর্গীকৃত অশ্বটিকে ছেড়ে দেন। শত্রুঘ্ন এবং তার যোদ্ধাদের সঙ্গে ঘোড়াটি পরিক্রমা শুরু করে। অন্যদিকে, সীতা তপোবনে তার বনবাসের পর্ব কাটাচ্ছেন। তার দুই পুত্র লব আর কুশ ধীরে ধীরে যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠছে। অশ্বমেধের ঘোড়াটি তপোবনে পৌঁছল। লব আর কুশ ঘোড়াটিকে দেখতে পেলেন। ‘যে এই ঘোড়াটিকে বাঁধবে তাকে শ্রীরামচন্দ্রের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে’ – ঘোড়াটির শরীরে এই কথা লেখা ছিল। ঘোড়াটিকে দেখতে পেয়ে লব আর কুশ তার পথ আটকে ধরে ফেলল এবং তপোবনে নিয়ে এল।

শত্রুঘ্ন সেখানে পৌঁছলেন এবং তাদের বললেন, ঘোড়াটিকে ছেড়ে দাও। লব আর কুশ তা করতে রাজি হল না এবং তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে শত্রুঘ্ন পরাজিত হলেন। এরপর একে একে পরাজিত হলেন সুগ্রীব, ভরত এবং হনুমান। তখন রামচন্দ্র এলেন এবং তাদের মধ্যে যুদ্ধ ভয়াবহ এক আকার নিল। শেষ পর্যন্ত বাল্মীকি ও সীতা দ্রুত তাদের মাঝে পৌঁছলেন এবং পিত-পুত্রের মিলন হল।

সারাংশ

রামচন্দ্রের অশ্বমেধ যজ্ঞের উৎসর্গীকৃত ঘোড়াটিকে ছেড়ে দেওয়ার পর ঘোড়াটি তপোবন অরণ্যে গিয়ে পৌঁছল। লব-কুশ, সীতার দুই ছেলে, ঘোড়াটিকে ধরল, শত্রুঘ্ন, ভরত, সুগ্রীব এবং হনুমান ঘোড়াটিকে মুক্ত করতে সেখানে পৌঁছে গেল কিন্তু লব-কুশের কাছে পরাজিত হল। শেষ পর্যন্ত রামচন্দ্র যখন সেখানে পৌঁছলেন তখন এই বিষয়ে বাল্মীকি ও সীতার হস্তক্ষেপের ফলে পিতা -পুত্রের মিলন হল।